দিঘা হাসপাতালের তৎপরতায় শিশু বিক্রির বড়সড় চক্রের হদিশ পেল দিঘা মোহনা থানার পুলিশ। সূত্রের খবর, গত সোমবার দিঘা রাজ্য সাধারণ হাসপাতালের বহির্বিভাগে জন্মের পর টিকাকরণের জন্য নিয়ে আসা হয়েছিল ৪ দিনের এক শিশুপুত্রকে। টিকাকরণের আগে শিশুটির জন্ম শংসাপত্র- সহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখতে চান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু শিশুটির সঙ্গে থাকা ৩ মহিলা তা দেখাতে পারেননি। তাছাড়া তাদের কথাবার্তায় অসঙ্গতি থাকায় সন্দেহ হয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। বিষয়টি পুলিশের নজরে আনা হয়। উদ্ধার হওয়া শিশুটিকে তুলে দেওয়া হয়েছিল চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির হাতে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্তে নেমে শুরুতে ৩ মহিলাকে আটক করে দিঘা মোহনা থানার পুলিশ। পরবর্তীতে উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ না মেলায় ২ মহিলাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। শিশু কেনার অভিযোগে গত মঙ্গলবার গ্রেফতার হয়েছিলেন রামনগর থানার দুর্গাপুরের বাসিন্দা মর্জিনা বিবি। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বুধবার এগরার একটি নার্সিংহোমের ( জনকল্যাণ নার্সিং হোম) মালিক সঞ্জয় গোল ও তাঁর স্ত্রী সুপ্রিয়া গোলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। নন্দীগ্রামের রানীচকের বাসিন্দা তারা।ধৃত দম্পতি ২ লক্ষ টাকার বিনিময়ে বাচ্চাটিকে কেনার জন্য নিঃসন্তান মর্জিনাকে সহযোগিতা করেছিলেন বলে অভিযোগ। শুক্রবার ধৃতদের কাঁথি আদালতে পেশ করা হলে বিচারক তাদের ৫ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।শনিবার মাঝ রাতে পটাশপুর থানার উত্তর খাড় গ্রাম থেকে শিশুর মামা দাদু ও মা কে আটক করে নিয়ে যায় দিঘা মহোনা থানার পুলিশ।শিশুটির মাসি জানা আমার দিদি প্রতিমা পাল বাড়ি পটাশপুর থানার জবদা গ্রামে। দিদি বাচ্চা হাওয়ার জন আমার বাড়িতে এসে থাকেন পরে বাচ্চা প্রসবের জন্য ২৫ আগস্ট এগরা একটি নার্সিংহোম ভর্তি করা হয়।নার্সিংহো কর্তৃপক্ষ প্রসবের পর বলে মৃত সন্তান জন্ম হয়ে ছে তাই তারা দেখতে চাইলে ও দেখাতে চায় নি কর্তৃপক্ষ।শনিবার মাঝ রাতে যখন পুলিশ আসে তারা যানতে পারে তাদের শিশুটির জীবিত ছিল ও বাচ্চাটিকে বিক্রি করে দিয়েছে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ।দিঘা মহোনা থানার পুলিস এসে শনিবার মাঝ রাতে শিশুটির মা প্রতিমা পাল ও মামা দাদু তপন দাস কে পটাশপুর থানার উত্তর খাড় থেকে আটক করে ।
দিঘা মোহনা থানার ওসি মৌসুমি সর্দার বলেন ” এছাড়াও শিশু বিক্রির এই ঘটনায় আর কে কে জড়িত আছে তার খোঁজ চলছে। পাশাপাশি বাচ্চাটির মায় ও দাদুকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন।