কাঁথির ফেয়ার ফিল্ড এক্সলেন্স সংস্থা দায়িত্ব নিলো শহীদ ক্ষুদিরাম এডুকেশন সেন্টারের।
১৯৭২ সালে অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলার নন্দকুমারের মহম্মদপুর গ্রামে এলাকার কিছু শিক্ষানুরাগী,সমাজদরদি গুণীজনের উদ্যোগে গড়ে ওঠে মহম্মদপুর শহীদ ক্ষুদিরাম স্মৃতি রক্ষা সমিতি।সংস্থার শিক্ষা বিভাগের নাম ছিল “শহীদ ক্ষুদিরাম এডুকেশন সেন্টার।” উদ্দেশ্য ছিল এলাকার অভাবী পরিবারের সন্তানদের বিনা মূল্যে প্রাথমিক শিক্ষা প্রদান করা এবং তাদের প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা। এই শিক্ষা বিভাগে যারা শিক্ষক/শিক্ষিকা হিসাবে যারা যুক্ত ছিলেন তারা সম্পূর্ণ বিনা পারিশ্রমিকে এই মহান কাজে নিজেদের নিয়োজিত করেছিলেন। কিছু শুভানুধ্যায়ী ব্যক্তি এগিয়ে এসেছিলেন বিদ্যালয়ের গৃহনির্মান,বেঞ্চ তৈরি ইত্যাদি কাজে। পরবর্তী কালে দীর্ঘদিন যাবৎ রক্ষণাবেক্ষনের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ জোগাড় করে উঠতে পারেননি উদ্যোক্তারা ফলে বিদ্যালয়টি ভগ্নদশায় এসে উপস্থিত হয়। আর যে শিক্ষকরা পাঠদান করছেন তারাও হতাশাগ্রস্ত হয়ে উঠছেন। এই কঠিন পরিস্থিতিতে বিদ্যালয়টি চালিয়ে নিয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে ওঠে। এখন বিদ্যালয়ের ছাত্র সংখ্যা তিপান্ন। ওই বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক/শিক্ষিকা ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি যোগাযোগ করেন কাঁথির ফেয়ার ফিল্ড এক্সলেন্স সংস্থার সঙ্গে,উনারা আবেদন করেন,বিদ্যালয়টি অধিগ্রহণ করে বিদ্যালয়টিকে সুন্দর ভাবে চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য। ফেয়ার ফিল্ড এক্সলেন্স এই আবেদনে সাড়া দিয়ে এই বিদ্যালয়টিকে অধিগ্রহণ করে পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করলো আজ থেকে।
একটি ছোট অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে এই বিদ্যালয়ের সমস্ত দায়ভার গ্রহণ করলো ফেয়ার ফিল্ড এক্সলেন্স।অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংস্থার মেন্টর নির্মল জালান, বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন শিবকুমার ভটিকা, কিষান খৈতান। সংস্থার পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন তেহরান হোসেন, সনাতন জানা, অনুপম দাস, সন্তু কুমার পাল, সুনীল দাস, অমল বিকাশ দাস, মোস্তাক আলি খান, শান্তি গোপাল চক্রবর্তী, সোমদীপা মান্না।
সভাপতি তেহরান হোসেন বলেন “ফেয়ার ফিল্ড এক্সেলেন্স পরিবার ২০১৪ সাল থেকে শিক্ষা প্রসারে অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলা জুড়ে কাজ করে চলেছে। আজ আমরা এই স্কুল অধিগ্রহণ এর মাধ্যমে এলাকার শিশু শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা যাতে না বন্ধ হয়ে যায় তা রূপায়ন করতে এগিয়ে এলাম “। সম্পাদক সনাতন জানা বলেন ” আমরা আজ থেকে এই বিদ্যালয়ের দায়িত্ব নিলাম, শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার পাশাপাশি সহপাঠক্রমিক কার্যক্রমকে ও গুরুত্ব দেওয়া হবে।
এলাকার সকল নাগরিককে স্কুলটিকে সুষ্ঠু ভাবে পরিচালনায় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানাই”।