ওড়িশার জাজপুরের বারাবাটিতে দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাসটি আসলে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমারে ফিরছিল। চিকিৎসা সহ অন্যান্য প্রয়োজনে ওড়িশায় যাওয়া যাত্রীরা এই বাসে করে পূর্ব মেদিনীপুরে নিজেদের বাড়িতে ফিরছিল বলে প্রাথমিক (Bus Accident) ভাবে জানা গেছে। বাসটির শেষ গন্তব্য ছিল নন্দকুমারের দিঘা বাসস্ট্যান্ড। মঙ্গলবার ভোরের দিকে বাসটি যাত্রী নিয়ে নন্দকুমারে আসার কথা ছিল। তবে ঠিক কোন কারনে এই দুর্ঘটনা তা এখনও পরিষ্কার নয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নন্দকুমারের দিঘা বাসস্ট্যান্ড থেকে প্রতিদিনই বিপুল পরিমানে বাস ওড়িশায় যায়। কটক, পুরী, ভুবনেশ্বরের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা নেওয়ার জন্যই যাত্রীরা এই বাসগুলিতে যাতায়াত করেন। এই বাসটিও দীর্ঘদিন ধরেই নন্দকুমার থেকে ওড়িশা এবং সেখান থেকে পুনরায় নন্দকুমারে ফিরে আসে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ‘KALIANANA’ বাসটি রবিবার বিকেলে নন্দকুমার থেকে ছেড়ে ওড়িশায় গিয়েছিল। এবং সোমবার সন্ধ্যে নাগাদ সেটি পুনরায় ওড়িশা থেকে ছেড়ে নন্দকুমারের দিঘা বাসস্ট্যান্ডের উদ্দেশ্যে আসছিল। তবে পথে জাজপুরের কাছে সেটি ব্রিজ থেকে সটান নীচে পড়ে যায়। অভিজ্ঞ চালক হলেও কিভাবে এই দুর্ঘটনা সেই প্রশ্নই ঘুরেফিরে আসছে সকলের মনে।
ওড়িশা সরকার আহত সমস্ত রোগীদের চিকিৎসার সমস্ত রকম দায়িত্ব বহন করছে বলে জানানো হয়েছে। আহতদের প্রথমে ধর্মশালা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর গুরুতর জখম ৩৫ জনকে কটকের শতাব্দী প্রাচীন এসসিবি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। আহতদের সমস্ত রকমের উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে ওড়িশা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে মৃতদেহগুলি দ্রুত ময়না তদন্তের পর তাদের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এরজন্য পূর্ব মেদিনীপুরের পাশাপাশি এ রাজ্যের প্রশাসনের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।