■রাজীব নন্দী
স্বাধীনতা সংগ্রামে রামনগরের চন্দনপুর জমিদারবাড়ি। স্বাধীনতা সংগ্রামের পিঠস্থান মেদিনীপুর। সমুদ্র উপকূলবর্তী মেদিনীপুর এলাকায় বীর বিপ্লবীদের আস্তানা ছিল। ইংরেজদের পুড়িয়ে দেওয়া ক্ষত নিয়ে এখনো দাঁড়িয়ে ঐতিহ্যের চন্দনপুরের জমিদার বাড়ি।
১৯৪২ সাল স্বাধীনতার আগুন জ্বলছে ভারতবর্ষ সহ মেদিনীপুর এর আনাচে কানাচে।স্বদেশী আন্দোলনের জমাট বেঁধেছে অবিভক্ত মেদিনীপুরের মাটিতেই।পূর্ব মেদিনীপুর এর রামনগর এলাকার চন্দনপুর গ্রাম ছিলো তৎকালীন স্বাধীনতা সংগ্রামের পীঠস্থান ও গোপন ঘাঁটি।মেদিনীপুর এর স্বাধীনতা সংগ্রামের অনেক না বলা কাহিনী জড়িয়ে আছে এই চন্দনপুর গ্রামের সাথে।চন্দনপুর এর চৌধুরী বাড়ি অর্থাৎ তৎকালীন জমিদার বাড়িতে আজও স্বাধীনতা সংগ্রামের স্বাক্ষর বহন করে।জমিদার পুলিন বিহারী চৌধুরী ও ভূধর চৌধুরীর বংশধর রজত বরণ চৌধুরী স্মৃতি চারণ করছিলেন সেই স্বাধীনতা আন্দোলনের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের কথা।
তৎকালীন সংগ্রামী নেতা বলাই লাল দাস মহাপাত্র ছিলেন স্বদেশী আন্দোলনের দাপুটে নেতা।তাঁর প্রতিনিধিত্বেই স্বদেশী আন্দোলন এক নুতুন প্রাণ পায় মেদিনীপুরের রামনগর এর বুকে।তিনি তৎকালীন রামনগর এর এক জনপ্রিয় নেতাও ছিলেন।কাঁথি ও রামনগর এলাকার স্বাধীনতা সংগ্রামের গোপন আখড়া করতেন চন্দনপুর এর জমিদার বাড়ির গোপন ডেরায়।সেই আখড়ায় আসতেন বিভিন্ন প্রান্তের লোক।চন্দন পুরের স্বাধীনতা সংগ্রামী দের মধ্যে আসতেন পুলিন রায় চৌধুরী,যামিনী পাহাড়ী, বিজয় মন্ডল,খগেন্দ্র রানা।এমনকি কাঁথি থেকে জমিদার বাড়ির আখড়ায় আসতেন প্রমথ বন্দোপাধ্যায়, ঈশ্বর মাল,সুধীর দাস প্রমুখ।
জমিদার বাড়ির গোপন ডেরায় ও পড়ো মন্দিরে চলতো গোপন মিটিং ও লাঠি খেলার প্রশিক্ষণও দেওয়া হতো।
জমিদার বাড়ির সদস্য রজত চৌধুরী সেই ভয়ঙ্কর দিনের কথা বলছিলেন।১৯৪২ সালের সেই প্রলয়ঙ্করী ঝড়ের ঠিক আগের দিন ইংরেজ ও তাদের মদদপুষ্ট দুষ্কৃতী জমিদার বাড়িতে চুরি করে ও পরে জমিদার বাড়ি সমেত চন্দন পুর গ্রামের বেশ কিছু বিপ্লবী দের বাড়ি পুড়িয়ে দেয়।গ্রেপ্তার হয় বেশ কিছু বিপ্লবী।জমিদার বাড়ির সদস্যরা কোনোক্রমে প্রাণে বেঁচে যায়।কথিত আছে বর্তমান পিছাবনীর কাছে ইংরেজ রা প্রবল ঝড়ের সম্মুখীন হয়ে মারা যান।বঙ্গভঙ্গ আন্দোলন ও লবণ সত্যাগ্রহ আন্দোলনেও মেদিনীপুর এর সাথে রামনগর এক বিশেষ স্বাক্ষর বহন করে রেখেছে।স্বাধীনতার অনেক বছর পেরোলেও এখনো স্মৃতির পাতায় সমুজ্জল হয়ে আছে আন্দোলনের রূপরেখা।স্বাধীনতার দিনেও এখনো পরাধীনতার যন্ত্রণার ইতিহাস লেখা রয়েছে চন্দনপুর জমিদার বাড়ির জীর্ণ বাড়ির আনাচে কানাচে।
বর্তমানে চন্দনপুরে জমিদার বাড়ি সেজে উঠেছে নব রূপে। স্বাধীনতার এতটা বছর পেরোলেও মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে চন্দনপুরের জমিদার বাড়ি। জমিদার বাড়ির সংস্থার ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। তাদের পরিবারবর্গের লোকেরা এখন বসবাস করে সেখানে। জমিদার বাড়ির মন্দির গুলো সংস্কারের কাজ চলছে। স্থানীয় স্বাধীনতা সংগ্রামীদের পরিবারবর্গের লোকেরা জানালেন তাদের অভিজ্ঞতার কথা।
স্বাধীনতা দিবস আসে স্বাধীনতা দিবস যায়। পরাধীনতার অতীত স্মৃতি এখনো আঁকড়ে ধরে মেদিনীপুরের আনাচেকানাচে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে রয়েছে সৃতিস্তম্ভ। জমিদার বাড়ির দেওয়ালে কান পাতলে এখনো শোনা যায় সেই ইংরেজদের অতীত ইতিহাসের কাহিনী।
বনীর কাছে ইংরেজ রা প্রবল ঝড়ের সম্মুখীন হয়ে মারা যান।বঙ্গভঙ্গ আন্দোলন ও লবণ সত্যাগ্রহ আন্দোলনেও মেদিনীপুর এর সাথে রামনগর এক বিশেষ স্বাক্ষর বহন করে রেখেছে।স্বাধীনতার অনেক বছর পেরোলেও এখনো স্মৃতির পাতায় সমুজ্জল হয়ে আছে আন্দোলনের রূপরেখা।স্বাধীনতার দিনেও এখনো পরাধীনতার যন্ত্রণার ইতিহাস লেখা রয়েছে চন্দনপুর জমিদার বাড়ির জীর্ণ বাড়ির আনাচে কানাচে।
বর্তমানে চন্দনপুরে জমিদার বাড়ি সেজে উঠেছে নব রূপে। স্বাধীনতার এতটা বছর পেরোলেও মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে চন্দনপুরের জমিদার বাড়ি। জমিদার বাড়ির সংস্থার ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। তাদের পরিবারবর্গের লোকেরা এখন বসবাস করে সেখানে। জমিদার বাড়ির মন্দির গুলো সংস্কারের কাজ চলছে। স্থানীয় স্বাধীনতা সংগ্রামীদের পরিবারবর্গের লোকেরা জানালেন তাদের অভিজ্ঞতার কথা।
স্বাধীনতা দিবস আসে স্বাধীনতা দিবস যায়। পরাধীনতার অতীত স্মৃতি এখনো আঁকড়ে ধরে মেদিনীপুরের আনাচেকানাচে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে রয়েছে সৃতিস্তম্ভ। জমিদার বাড়ির দেওয়ালে কান পাতলে এখনো শোনা যায় সেই ইংরেজদের অতীত ইতিহাসের কাহিনী।